অসুস্থ মানুষের চোখে দৃষ্টিসীমা কতদূর পর্যন্ত

 


ছবি:সংগৃহীত

চোখ কী 

সৃষ্টিকতার সৃষ্টির মধ্যে মানবজাতি সবশ্রেষ্ঠ। মানবদেহে ৫ টি ইন্দ্রিয় আছে ।সেইগুলো হলো কান,নাক,চোখ,জিভ ও ত্ত্বক।তার মধ্যে চোখ অন্যতম।চোখ হলো ভিজ্যুয়াল সিষ্টেমের অঙ্গ।এই ইন্দ্রিয় অঙ্গটি আলো শনাক্ত করতে পারে। চোখা সাধারণত ইলেক্ট্রো-ক্যামিকাল ইমপালসে রুপান্তর করতে সক্ষম ।

চোখের দৃষ্টি ৬/৬ বলতে কী বোঝায়?

আসুন আগে আমরা জেনে নেয় চোখের দৃষ্টি  ৬/৬ বলতে কী বোঝায়।এইটা জানা থাকলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে.....তাহলে দেরি না করে আসুন 

চোখ মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের মাধ্যমে আমরা  যেকোনো জিনিস দেখতে পারি।চোখ মানুষসহ সকল প্রাণীর আছে ।আমরা স্বাভাবিকভাবে যে দূরত্ব দেখতে পাওয়ার কথা সেইটুকু দেখতে পাই।আর এই দূরত্ব দেখতে পাইলে আমাদের চোখ ঠিক আছে।৬ মিটার বলতে প্রায় ২০ ফুট হয়।মূলত ৬/৬ দৃষ্টিশক্তির মানুষের দৃষ্টি সাভাবিক ধারণা করা হয়।সকল ডাক্তার চোখের পরীক্ষার জন্য সেই ব্যক্তির থেকে ২০ ফুট দূরে একটা বোডে কিছু ছোট বড় লেখা দেখানো হয় সেই গুলো তাকে দেখার জন্য বলা হয় এবং পড়তে দেওয়া হয়ে থাকে,সেই ব্যক্তি যদি সঠিকভাবে সেটা দেখতে পাই বা পড়তে পারে ছোট বড় লেখাগুলো  তাহলে তার চোখ ঠিক আছে সেই সাথে তার চোখের অনুপাত ৬/৬ বা (২০ ফুট) লেখা  যেতে পারে।কিন্তু যদি ৬/৬ মি.  দূরত্ব থেকে দেখতে না পাই তাহলে প্রথমে অল্প দূরত্ব কমা হয় যেমন কেউ যদি ৬/৬ দেখতে না পাই তাহলে প্রথমে ১ মি. কমানো হয় তখন তার চোখের দূরত্ব ৫/৬ ঠিক এইভাবে যত দূরত্ব কমবে তার চোখতত  দূরের জিনিসপএ কম  দেখতে পারবে ।


আশাকরি আপনার ৬/৬  দৃষ্টি বলতে কী বোঝায় তা বুঝতে পারছো ,,ধন্যবাদ সবাইকে।

চোখের স্বাভাবিক পাওয়ায় কত?

পৃথিবীতে মুসলমানদের ধর্মে উৎসব আছে দুইটি। তার মধ্যে কোরবানি ঈদ হল অন্যতম। কোরবানির ঈদে মানুষ হাট থেকে গরু কিনে আনতো তখন সবাই জিজ্ঞেস করত ভাই দাম কত  ঠিক একইভাবে ছোটবেলায় কাউকে চশমা পরা দেখলে সবাই  জিজ্ঞেস করতো 'পাওয়ার কত,'তখন মনে মনে ভাবতাম চশমা পরলে যে কেউ  সুপার হিরো হয়  নাকি?  আচ্ছা আমরা সেই দিকে আর না যাই মূল কথায় আসি,,,,,

সেই সময় সবার চোখে চশমা ছিল না। আমি ২০০১বা  ২০০২ সালের কথা বলছিলাম।তাছাড়া যখন ছোট ছিলাম তখন আব্বু আম্মুর অনেক চশমায় আমি নিজে ভেঙ্গেছি। সেজন্য অনেক বকাঝকা শুনতে হয়েছে। বেশি ভাঙ্গা ভাঙ্গির কারনে মাঝে চশমা কিনতেও যাওয়া লাগতো। যখন চশমার দোকানে যেতাম তখন সাথে সাথে আগে জিজ্ঞেস করত পাওয়ার কত,সেখান থেকেই জানা হয় এই পাওয়ার বলতে কি বোঝানো হয়।  কারণ চশমা বানাতে দিতে হলে প্রথমে পাওয়ার চলে আসতো। আর এই পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি দুটো  বিষয় বুঝতাম। এক হলো যে ব্যক্তি দূরে দেখতে পায় না চোখের চশমার পাওয়ার হলো মাইনাস। দুই হল তখন চশমার বা কাচে মাইনাস ১.৫০ পাওয়ার দেওয়া। আর এই পাওয়ারের মানভারা মানে খারাপ। যাদের দূরে দেখতে সমস্যা হয় ডাক্তার তাদের পই পই  করে বলে দেয় তারা যেন চশমা ছাড়া যেন না চলে। যে সকল ব্যক্তি এই চশমা পরিধান করে সকলেই এই বিষয়টি অবগত আছে। আমার জানা মতে পরেনা বিষয়টি জানে। অর্থাৎ যাদের চশমার পাওয়ার মাইনাস তাদের চোখের অবস্থা খারাপ তারা দূরের জিনিস কম দেখতে পাবে এবং যাদের চশমার পাওয়ার প্লাস দূরে কাছের জিনিস কম দেখতে পাবে আশা করি তোমরা সকলেই বিষয়টি বুঝতে পারছ ধন্যবাদ


একজন সুস্থ মানুষের চোখের দৃষ্টিসীমা কতদূর পর্যন্ত

পৃথিবীর ডাক্তার গন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন যে একটি সুস্থ মানুষের দৃষ্টিসীমা প্রায় অসীম দূরত্ব পর্যন্ত হয়ে থাকে। পৃথিবীর মাটিতে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে তাকালে ১৫ থেকে১৭ কিলোমিটারের মধ্যে দেখা যাবে। কারণ আলো সাধারণত সরল পথে চলে। আমরা জানি আমাদের এই পৃথিবীতে হচ্ছে গোলাকার আর পৃথিবীর এমন হওয়ার কারণে একজন মানুষ ১৬ কিলোমিটারের বেশি দূরের বস্তু দেখতে পায় না। 

একজন সাধারণ মানুষের চোখের দৃষ্টি সীমা + 60D ।এর মধ্যে কণিয়াতে থাকে +40D বাকি +20D থাকে লেন্সের  মধ্যে ।

চোখের পাওয়ার কমে যায় কেন

আমাদের দেহের সবথেকে মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে নাম হলো চোখ।আমাদের উচিত এই মূল্যবান অঙ্গের যত্নের নেওয়া।অনেক সময় আমরা নিজের ভুলে বা অজান্তেই চোখের জ্যোতি এবং দৃষ্টিশক্তির কমিয়ে  ফেলছি।পৃথিবীতে বতমানে অনেক রকমের ইলেক্ট্রনিকসের  জিনিস রয়েছে যেগুলো মাধ্যমে ক্ষতিকর আলোকরশ্মি দেখা যায়,যেমন:টিভি, মোবাইল ,কম্পিউটার যেগুলো আমরা প্রতিদিন অনেকটা সময় ধরে  ব্যবহার করি ।আর এই ডিভাইস গুলোর আলো  আমাদের চোখের  জ্যোতি কমানোর প্রধান কারণ ।বিশেষ করে আমরা রাতে যখন রুমের আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে মোবাইল ব্যবহার করি  ভিডিও দেখা ,মুভি দেখা ,গেমস খেলা ,সেই আলো আমাদের চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ।বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা এখন গেমের প্রতি আসক্ত ।যার ফলে অতিরিক্ত মোবাইলে গেমস খেলার কারণে তাদের চোখের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।অনেক ছোটো ছোটো বাচ্চাদের চশমার ব্যবহার ছাড়া কিছু দেখতে পারছে না ।

অনেক মানুষ আছে যারা ছোটো বাচ্চাদের সামনে ধুমপান করে যার ফলে সবার হাটের ক্ষতি হয় সাথে চোখেও ক্ষতি হয়।ধুমপানের  ফলে সৃষ্টি ধোয়া চোখের অনেক ক্ষতি করে।কারণ সেই ধোয়ার মধ্যে ক্যাটারাক্ট  নামক ক্ষতিকর পদার্থ তো আছে ,বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) ত্বারান্বিত করে। ডাক্তার গন এই ধুমপানকে দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে আক্ষায়িত করছে।আরও নানাভাবে চোখের ক্ষতি হয়,যেমন:চোখের মধ্যে ধুলাবালি পড়লে, চোখের মধ্যে পোকা বা ক্ষতিকারক রাসায়নিক দব্র পড়লে,আরও অনেক কারণ আছে

মানুষের চোখের নূন্যতম দূরত্ব কত

গবেষণা করে জানা গেছে যে  একজন সাধারণ মানুষ সাভাবিকভাবে প্রায় ২৫ সে.মি.এর বেশি  দূরে জিনিস দেখতে পারে না ।এই  দূরত্ব পযন্ত  মানুষ যেকোনো বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পাই।আর এর চেয়ে দূরত্ব যদি কম হয় তাহলে বস্তুটি কেনিয়া হয় মূলত বস্তুটি ঘোলা দেখা দেয়।আমরা যদি রাতের বেলা আকাশের দিকে তাকাই তাহলে আলো জলিত দূরের অনেক নক্ষত্র দেখতে পাই ,যা একটি অবিশ্বাস্য বিষয় । তাহলে  আমাদের  চোখ দিয়ে দেখার বিষয়টি পানির মত সহজ ।অথাৎ আমাদের চোখে যত দূরের আলো এসে পড়বে আমরা ঠিক তত দূরের  বস্তু বা জিনিস দেখতে পারবো।কিন্তু  এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায় সেটা হলো কতটুকু দূরের আলো এসে আমাদের চোখ পড়তে পারে ? এর কোনো  সীমাবদ্ধতা আছে কি? 

কোনো ব্যক্তি যদি সমুদ্রপৃষ্ঠর তলদেশ থেকে সামনের দিকে তাকাই আর যদি কোনো বাধা না থাকে তাহলে প্রায় ৫ কি.মি. পযন্ত দেখতে পারবে।অথাৎ ৫ কি.মি. পযন্ত আপনি দেখতে পাবেন ,আকাশ ভূমির সাথে মিলে গেছে।আমাদের পৃথিবী গোলাকার  তাই এমন দিগন্তের প্রতিবন্ধকতাটি তৈরী হয়।
মূল কথা হলো আমরা সেই সকল জিনিস বা বস্তু দেখতে পারবো যার ওপর আলো পড়বে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১