পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠকবৃন্দ,আপনারা পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?কিন্তু কোথাও সঠিক উত্তরটি খুঁজে পাচ্ছেন না?আমরা আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবো পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং পেয়ারা পাতার এলার্জি সম্পর্কে জানতে পারবো। এই সকল বিষয়ে সঠিক উত্তরটি জানতে চলুন আমরা নিচের পোস্টটি পড়ি ;




এই পোষ্টের মধ্যে আমরা আরো জানতে পারবো পেয়ারা পাতার এলার্জি, পেয়ারার পাতা খাওয়ার নিয়ম, পেয়ারার পাতা চুলের জন্য উপকারিতা কি খালি পেটে পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা আছে কিনা।এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন :

পেয়ারার পাতার বৈশিষ্ট্য

আমরা সকলেই জানি পেয়ারা একটু অত্যন্ত সুস্বাদু ফল।পেয়ারা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত রয়েছি।

 পেয়ারা আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি করে না বরং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। শুধু যে পেয়ারা ফুলে আমাদের উপকার করে তা নয় পেয়ারার খোসা পাতা এগুলো আমাদের দেহের অনেক উপকার করে।

 বিশেষ করে পেয়ারার পাতার অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি বস্তু। যা মানব দেহের ক্ষয় পূরণ করে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কালোজিরা ও মধু যেমন একটি ঔষধীয় উপকরণ।

ঠিক তেমনি পেয়ারার পাতা মানুষের জন্য একটি ঔষধি উপকরণ।পেয়ারার পাতার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের উপকরণ বিদ্যমান রয়েছে । যা মানব দেহে বিভিন্ন রকমের ক্ষয় পূরণে কাজ করে।

 পেয়ারার পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি -ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বাদানো বিদ্যমান এর মধ্যে। এই সকল উপাদান ছাড়া আরো কিছু উপাদান পাঠাতে বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো হলো পলি ফেলন টেনিন রাসায়নিক ফ্ল্যাভোনয়েড।

 এই সকল উপাদান মানবদেহে চিকিৎসার কাজের জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পেয়ারার পাশাপাশি পেয়ারার বীজ পাতা ও খোসা সহ সকল কিছুই স্বাস্থ্যসম্মত গুণে ভরপুর রয়েছে।

 পেয়ারার পাতায় এক ধরনের নির্যাস রয়েছ। যা এখন সমগ্র মানুষের জন্য একটি বিশেষ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। পেয়ারার পাতা এখন মধুপারিজিরার মতো ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতেছে।

 তেমন একটি উদাহরণ হলো:জাপানে মানুষ তাদের স্বাস্থ্যসম্মত ঔষধি চা বানানোর ক্ষেত্রে কিন্তু পেয়ারার পাতার ব্যবহার করে থাকে। পেয়ারার পাতার বৈশিষ্ট্য অনেক রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো। চলুন সেগুলো জানা যাক।

পেয়ারা পাতার এলার্জি

মানবদেহে জন্য এলার্জি শব্দটি অতি পরিচিত একটি শব্দ।এটি এইসব দেশেতে আমরা সবাই পরিচিত কারণে এটি কম বেশি প্রায় সবারই হয়ে থাকে। 

এলার্জি প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং এর লক্ষণও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এলার্জি সাধারণত চুলকানি দেহের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানির সৃষ্টি হয়। 

এর ফলে দেহে অস্বাভাবিক চুলকানি সৃষ্টি হাঁচি কাশি শুরু হয়। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে অপরিষ্কার থাকার কারণে বা কারো কোন বস্তু খাওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অ্যালার্জি হতে পারে। 

মানবদেহের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। অনেক সময় এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না যার ফলে কোন বস্তু যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর না তারও প্রতিক্রিয়া আমাদের শরীরে দেখা যায় আর এটি হলো এলার্জি। 

অর্থাৎ আমরা কোন খাবার খাবার পর আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যটি আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর না সেটা শনাক্ত করতে পারেনা। যার ফলে সেই খাদ্যের একটি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় সেটি হলো এলার্জি। 

আমাদের দেশে প্রায় অনেক মানুষই আছে যারা এলার্জির অন্তর্ভুক্ত। এলার্জি মূলত হাঁচি কাশি কিংবা চুলকানি কারো ক্ষেত্রে শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

 অনেকের জন্য এটি স্বাভাবিক মানে কিছুই না কিন্তু আবার অনেকের জন্য এটি অনেক বেশি কিছু। পেয়ারার পাতা বিভিন্ন ধরনের গুণাবলী রয়েছে।

 যা মানব দেহে এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে। কেউ যদি প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি পাতা পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করে। 

একটি ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে তার পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর কিছু কালিজিরার গুড়া সেই পেস্ট এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন রাতের খাবার শেষের প্রায় আধা ঘন্টা পর খেতে হবে।

 এই পদ্ধতি যদি 7 থেকে 10 দিন নিয়ম মেনে খাওয়া যায়। তাহলে এলার্জি আর সম্ভাবনা একদমই কমে যাবে। আর এই ভাবেই পেয়ারার পাতার এলার্জির দূর হবে।

পেয়ারার পাতা খাওয়ার নিয়ম

পেয়ারা একটি সুস্বাদু ফল হওয়ার পাশাপাশি এতে অনেক গুণাবলী রয়েছে। ঠিক তেমনভাবে পেয়ারার পাতাতেও কিছু গুণাবলী রয়েছে যা মানবদের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত। এই পেয়ারা পাতা খাওয়ার কিছু রয়েছে চলুন সেগুলো জানা যাক:
  • কোন ব্যক্তি যদি সাত দিনে প্রতিদিন তিনটি করে পাতা খায় তাহলে সে ব্লাড প্রেসার ডায়াবেটিস আরো বিভিন্ন রোগের থেকে মুক্তি পাবেন।
  • এরই মধ্যে আমরা জেনেছি যে পেয়ারাতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা মানব দেহের ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সহায়তা করে।
  • কোন ব্যক্তি যদি প্রায় দেড় কেজি পানিতে ৬ থেকে ৭ টি পেয়ারার পাতা সিদ্ধ করে। সেই পানি যদি তিনবার পান করে তাহলে তার দেহ থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন পদার্থ বের হয়ে যায়
  • পেয়ারার পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি এজিং নামক পদার্থের বৈশিষ্ট্য। এই পদার্থটি আমাদের দেহের ত্বককে টানটান রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পেয়ারার পাতা তিন থেকে চারটি খেলে ত্বকের উপর কোন টান টান ভাব আসে না এবং ত্বক অনেকদিন তরুণ থাকে। এছাড়া বয়সের ছাপ বোঝা যায় না।
  • অনেকেই জানে যে পেয়ারার পাতা কে বলা হয় রক্তের গ্লুকোজ শোষক। কারণ এই পেয়ারার পাতা রক্তের গ্লুকোজ কে শোষণের নিয়ন্ত্রণ কাজ করে থাকে। পেয়ারার পাতার চাওয়া পাওয়া যায় যা ডায়বেটিস রোগীর জন্য অনেক উপকারী। এইটা প্রতিদিন খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • কেউ ব্যক্তি যদি প্রতিদিন পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খায় তাহলে তার দাঁতের সমস্যা দূর হবে। পেয়ারার পাতা দাঁতের ব্যথাতে দূর করা থেকে শুরু করে দাঁতের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কোষ সেবা ক্ষতস্থান পূরণ করে থাকে।
  • কোন ব্যক্তি যদি পেয়ারার পাতা পানির মধ্য দিয়ে সিদ্ধ করে।সেই পানি ঠান্ডা করে প্রতিদিন যদি মুখ ধুতে পারে তাহলে তার মুখের সকল দাগসহ ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
  • কোন ব্যক্তি ইচ্ছা করলে পেয়ারার পাতা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারে। এটি করলে দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে।
  • এজন্য বলতে পারি পেয়ারার পাতা মানুষ যেভাবেই খান সেটা সিদ্ধ করে হোক বা কাঁচা পাতা চিবিয়ে দুটোতে উপকার রয়েছে।

পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

পেয়ারা অনেক ভিটামিন গুন সম্পন্ন।পেয়ারার সাথে পেয়ারার পাতারও অনেক গুণ রয়েছে । পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি।

কারণ পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। চলুন আমরা পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা গুলো কি কি হতে পারে। আমরা প্রথমে জানু পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা গুলো :

  • আমরা সকলেই জানি পেয়ারার পাতা অনেক ভিটামিন গুণ সম্পন্ন। যা মূলত আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। পেয়ারার পাতা রস আমাদের চুলের গোড়া মজবুতে সহায়তা করার পাশাপাশি আমাদের নতুন চুল গজানো এবং চুল ঝরে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ডায়াবেটিক কোলেস্টর এবং ব্লাড প্রেসারসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোগ হয়ে থাকলে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি পাতা খাবেন তাহলে আপনার জটিল থেকে জটিল রোগ হতে মুক্তি পাবেন।
  • পেয়ারার কাঁচা পাতা আমাদের দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকার। অনেকের আছে যাদের শিরশশিরে অনুভব হয়ে থাকে। তাহলে কয়েকটি পাতা নিয়ে পরিষ্কার করে সেটি মুখের মধ্যে চিবাতে থাকুন । কিছুক্ষণ পরে দেখবেন আপনার সেই দাঁতের মধ্যে শিরশির ভাবটি চলে গেছে।
  • আমাদের দেশে অনেক ব্যক্তি আছে যারা ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত । এই সকল রোগের জন্য পেয়ারার পাতা অত্যন্ত উপকারী একটি বস্তু। পেয়ারার পাতাতে রয়েছে নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬এর সাথে আরো রয়েছে ভিটামিন বি৩। যা আমাদের দেহে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

একটু আগে আমরা পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা জানবো পেয়ারা খাওয়ার কি অপকারিতা রয়েছে।

যে সকল বস্তুর উপকারিতা রয়েছে সে সকল বস্তুর কিন্তু অপকারিতা রয়েছে। তাহলে বোঝা যায় যে পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে।

 আমরা একটু আগেই পড়লাম পেয়ারার পাতা খাওয়ার কি কি উপকারিতা হতে পারে চলুন এখন আমরা জানবো পেয়ারার পাতার অপকারিতা গুলো কি কি হতে পারে।

 পেয়ারার পাতার উপকারিতা অনেক হওয়ায় এর অপকারিতা গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসুন জানা যাক এর অপকারিতা সম্পর্কে :

  • ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি পেয়ারার পাতা আমাদের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে অর্থাৎ কমিয়ে দেয়। কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত মাত্রাই পেয়ারার পাতা খায় তাহলে তার দেহের রক্তচাপের মাত্র অধিক আকারে কমে গিয়ে আপনার দেহের ক্ষতি করতে পারে।
  • পেয়ারার পাতা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য না খাওয়াই ভালো। কারণ এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তার বা কোন গবেষণা নিশ্চিত করে নাই যে পেয়ারার পাতা খাওয়া যাবে কিনা। তাই গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে পেয়ারার পাতা খাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত পেয়ারার পাতা খাওয়ার ফলে মানব দেহে রক্তস্বল্পতা মাথাব্যথা সহ অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অনেক সময় কিডনির সমস্যা হয়ে যেতে পারে।
  • এটি খারাপ হলে অনেক সময় বদহজমের সৃষ্টি হয় যার ফলে অতিরিক্ত গ্যাস বা ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত পেয়ারা পাতা রস ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য মারাত্মক হিসেবে গণ্য।

পেয়ারার পাতায় অনেক গুণ রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে প্রতিদিনই তার ডাইতে বা খাদ্যদ্রব্যের সাথে সে এটি গ্রহণ করতে পারে।

 পেয়ারার পাতা শিক্ষার উপকারিতা ও অপকারিত দুটোই রয়েছ। কারণ যে কোন জিনিসের দুটি দিক থাকে। পেয়ারার পাতা আমাদের দেহের জন্য বিভিন্ন গুণ সম্পন্ন ভিটামিন বা অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান সরবরাহ করে থাকে।

 এজন্য এটা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম থাকায় এটা আমাদের দেহের জন্য গুণ সম্পন্ন একটি খাদ্যদ্রব্য। 

আপনি পেয়ারা পাতা খাওয়ার ফলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। এজন্য আমরা বলতে পারি যে পেয়ারার উভয় দিক রয়েছে পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।

পেয়ারার পাতা চুলের জন্য উপরিতা

পেয়ারার পাতা রস মানব দেহের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকার। কারণ পেয়ারার পাতাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের সাথে এন্টি এক্সিডেন্ট।

যা মানব দেহে চুলকে লম্বা ও মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পেয়ারার পাতার রস চুলের গোড়াও অনেক মজবুত করে। চুল ঝরে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং সেই সাথে মাথায় নতুন চুল বাজাতে থাক। 

চুলকে অনেক উজ্জ্বল করে তুলে দেখতে অনেক সিল্কি মনে হয়। এছাড়াও পেয়ারার পাতার রস চুলের স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি করে এবং সেটিকে সুন্দর করে তোলে।এটি ব্যবহার করার নিয়ম কি জানেন। 

চলুন আমরা নিয়মটাও জেনে নেই । প্রথমে একটি পাত্রে কিছু পানি নিয়ে ৭-৮ টা পেয়ারার পাতা একটি পাত্রে নিতে হবে। সেই পানিকে গরম চুলায় প্রায় আধা ঘন্টার ওপর সিদ্ধ করতে হবে।

 এরপর তিন থেকে চার কাপ ঠান্ডা পানি মিশাতে হবে। পানি যখন হালকা কুসুম কুসুম গরম থাকবে সে অবস্থায় সেটি মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে।

 লাগানোর পর প্রায়ই এক ঘণ্টার উপরে সেটি মাথায় রাখতে হবে এবং তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। কেউ যদি সপ্তাহে তিনবার করে এটি ব্যবহার করতে পারে তাহলে তার চুলের অনেক উপকার হবে।

খালি পেটে পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা

ইতিমধ্যে আমরা পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আমরা এখন খালি পেটে পেয়ারার পাতাখোর উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক টা জানব। পেয়ারার পাতা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুণ সম্পূর্ণ একটি দ্রব্য।

  • এখন দেশে প্রায়ই মানুষই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তের ফ্রেটলেট অনেক কমে যায়। সকালে খালি পেটে কেউ যদি তিনটি পেয়ারার পাতা খেতে পারে তাহলে তার এই রোগের সমস্যা সমাধান হবে।
  • আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন বা মেদ কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিনটি পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খেতে পারলে ওজন কমবে। পেয়ারাতে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যার ফলে আমাদের দেহের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে
  • যে সকল ব্যক্তি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা পেয়ারার পাতার চা খেতে পারেন। আপনাদের দেহের সুগার লেভেল ঠিক রাখবে। আর আপনাকে অতিরিক্ত ডায়াবেটিসের কোন ঔষধ খাওয়া লাগবেন এবং ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে থাকব।
  • পেয়ারার পাতা বা চা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করলে দেহের হার্ট অ্যাটাক এর মত মারাত্মক রোগ হতে পারে না
এগুলোই হল সকালে খালি পেটে পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা।

লেখক এর মন্তব্য এজন্য আমরা বলতে পারি সকালে খালি পেটে পেয়ারার পাতা খাওয়া বা পেয়ারার পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক রয়েছে

কারণ পেয়ারার পাতাতে অনেক গুন সম্পন্ন। পাতা মানবদেহের বিভিন্ন ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। আমরা পেয়ারার পাতা খেতে পারবো বা চুলে লাগাতে পারবো।

 আমাদের দেহের সার্বিক উন্নয়ন করবে। আপনি ইচ্ছা করলে প্রতিদিন তিনটি করে পেয়ারার পাতা সকালে খালি পেটে খাবেন তাহলে আপনি সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১