লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে

  আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনারা কি লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কোথাও কি সঠিক উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা সেই সকল বিষয়ে সঠিক উত্তরটি জানবো।  লেবু খাওয়ার উপকারিতা ওঅপকারিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন?


আমরা এই পোষ্টের মধ্যে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবো।এই পোষ্টের মধ্যে আমরা লেবু খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে লেবু খেলে কি কোন ক্ষতি আছে,লেবুর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানব। চলুন আমরা পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ি।

লেবু কি

লেবু এক ধরনের ফল। যা রুটেসি ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। লেবু মূলত সবুজ রঙের দেখতে হয়।এটি সবুজ হওয়ার কারণে রুটেসির চিরো সবুজের ক্যাটাগোরির মধ্যে পড়ে।সর্বপ্রথম এটি ভারতের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ায় এই গাছের উৎপত্তিস্থল।গাছটির উপবৃত্তাকারের মতো এক ধরনের হলুদ রঙের ফল সমগ্র পৃথিবীতে রান্নার এবং পরিষ্কার কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।

এই ফলটিতে এক ধরনের রস থাকে।এই ফলটির সবকিছুই ব্যবহৃত হয় যেমন এর খোসা, শ্বাস এবং এর রস। এর খোসা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান মানুষের ওজন কমে। লেবুর রসে ph রয়েছে। এর পি এইচ এর মাত্রা হলো ২.২। এটিতে সাইটিক এসিডে রয়েছে প্রায় ৫% থেকে ৬%।এই সাইট্রিক এসিড থাকার কারণেএর স্বাদ টকযুক্ত।

লেবু খাওয়ার নিয়ম

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে বা অনেক বয়স্ক মানুষ আছে যারা প্রতিদিন সকালে উঠে চা বা কফি না খেলে তাদের দিন শুরু হয় না।চা এবং কফি আমাদের শরীরের পানি শূন্যতার অভাব তৈরি করে। 

পানির সাথে লেবু খেলে মূলত এই পানির শূন্যতা অভাব দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি কারো এসিডিটি হয় তাহলে এটি বাদ দাও উত্তম। কিন্তু এখন একটি প্রশ্ন মনের মধ্যে থেকে যায় যে আমরা কেন লেবু দিয়ে পানির মধ্যে মিশিয়ে খাব?

আসুন আমরা এই লেবু খাওয়ার নিয়ম জানব:আমাদের এক ধরনের বিপাকক্রিয় সংঘটিত হয়। যার ফলে আমাদের খাদ্য হজমে সহায়তা করে।আর এই বিপাক ক্রিয়া শুরু করার জন্য আমাদের প্রায় প্রতিদিন সকালে ৪০০ মিলিটার পানি পান করতে হবে। 

লেবুর পানি খাওয়ার ফলে আমাদের এই হজম শক্তির বিপাকের হার অনেকটা বেড়ে যায়।কেউ যদি ইচ্ছা করে যে লেবুর পানি না খেয়ে তার খোসা চিবিয়ে খাবে এর ফলেও কিন্তু হজম শক্তি বেড়ে যায়। কেউ যদি তার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় তাহলে কিন্তু এই লেবু অনেকটা উপকারী হিসেবে কাজ করে। 

কারণ কেউ যদি সকালে খালি পেটে পানি লেবু মধু তিনটি জিনিস একসাথে খায় তাহলে তার দিনে খোদা কম লাগে। যার ফলে কম খাওয়া হয় এবং ক্যালরি ও কম। এর ফলে মানুষের ওজন ও নিয়ন্ত্রণ থাকে।

অনেকে আছে সারাদিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে বা ছোটাছুটি দৌড়াদৌড়ি করে যার পরে শরীর থেকে অনেক ঘাম ঝরে। শরীরে অনেক ক্লান্তি অনুভব হয়। এই ক্লান্তি থেকে লেবুর শরবত বা লেবুর পানি খেলে শরীর অনেকটা সতেজ হয়। 

লেবুর রস যদি কারো খারাপ লাগে খেতে পারবে। যা আমাদের দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করবে। আমরা যে এতগুলো তথ্য জানলাম এগুলোর কিন্তু কোন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাইকৃত নয়। 

আমাদের দেহের ফ্যাট বা চর্বি কমাতে আমরা দৈনিক ব্যায়াম করি যার ফলে ক্যালরির ক্ষয় হয়। ঠিক তেমন ভাবে লেবুর রস আমাদের দেহের ক্যালরির ক্ষয় করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। লেবু বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। কেউ ইচ্ছা করলে তার রস খেতে পারবে এবং কেউ যদি ইচ্ছা করে তার খোসা খেতে পারবে।

খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

একটি গ্লাস ভর্তি পানি তার মধ্যে কিছু সংখ্যক লেবুর রসের ফোটা মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে কেউ যদি পান করে তাহলে হাসপাতাল বা ডাক্তারের চেম্বারশিপ ভুলে যাবে একদম।

 কেননা খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা অনেক। চলুন আজকে আমরা জানবো খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে:

পুষ্টির অভাব দূর করা;লেবুর প্রধান উপাদান হলো ভিটামিন সি।লেবুর মধ্যে কি শুধু ভিটামিন সি আছে সেটি নয়। এর মধ্যে আরো অনেক উপাদান রয়েছে সেগুলো হলো ফসফরাস, পটাশিয়া, ক্যালসিয়া, ম্যাগনেসিয়াম এবং নাম না জানা আরো অনেক উপাদান এই সকল উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে মজবুত তৈরি করে।

লেবুর পিএইচ এর মাধ্যমে দেহের পিএইচ লেভেল ঠিক থাকা:কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবুর রসের সঙ্গে পানি দিয়ে পান করে তাহলে সেই ব্যক্তির দেহের PH ব্যালেন্স ঠিক থাকে। এর ফলে সেই ব্যক্তিটির দেহের অন্তর ও বাহির এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ওঠে তার দেহের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি পেতে অধিক সময় লাগে না।

দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি:লেবুতে সাধারণত সাইট্রিক এসিড থাকে।লেবুর এসিড খাদ্য হজমে অনেক সহায়তা করে।লেবুর পানিতে সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস বিদ্যমান রয়েছে। যা আমাদের পাকস্থলীর খাদ্যদ্রব্য কে ভেঙ্গে হজমে সাহায্য করে। আর এই হজমশক্তি বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কমতে থাকে।

লেবু ওজন কমাতে তে সাহায্য করে:কোন ব্যক্তি যদি চিন্তা করে যে সে তার ওজন কমাবে তার জন্য লেব অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করব। লেবুতে সাইটিক এসিড থাকার পাশাপাশি আরো অনেক পদার্থ রয়েছ। যার মধ্যে একটি হলো পলিফেনালস। এই পদার্থের কাজ হলো আমাদের ক্ষুধা নিবারণ সহায়তা করা। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সকালে উঠে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খায়। এই জুসের মধ্যে অনেকেরই আবার প্রিয় হচ্ছে কমলার জুস। আর এই কমলার জুসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর জন্য আমাদের এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করে কমলার জায়গায় লেবুর রস পান করতে হবে।

 তাহলে আমরা আমাদের ওজন কমাতে পারবো অনেকটা। আমরা যেমন জুস ঠান্ডা খেতে পছন্দ করি ঠিক তেমনভাবে লেবুর রস যদি কেউ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে খায় তাহলে এটি বেশি কার্যকরী।

লেবুর রসের মাধ্যমে টিবি রোগের চিকিৎসা: চিকিৎসকগণ অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে একটি তথ্য দিয়েছেন যে টিভি রোগের অসুখের ওষুধের সাথে লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি যুক্ত ফল বেশি বেশি খাওয়া। কারণ লেবু ওষুধের কার্যকরী ক্ষমতা দ্বিগুণ আকারে বৃদ্ধি করে। যার ফলে যে কোন রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

লেবুর মাধ্যমে কিডনির পাথর প্রতিরোধ করা যায়:আমরা অনেকেই জানি যে লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি এবং সাইটিক এসিড রয়েছ। এই সাইটিক এসিড আমাদের দেহের কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে। শুধু যে পাথর রক্ষা করে তা নয় কিডনিতে জমে থাকা পাথরগুলো দূর করতে সাহায্য করে।
লেবুর মাধ্যমে লিভারের কার্যক্রম সচল রাখার উপায়;মানবদেহে এক ধরনের ফিল্টার রয়েছে যার নাম লিভার।লিভার আমাদের দেহে মূলত ফিল্টারের মত কাজ করে।লেবুর পানিতে রয়েছে সাইট্রাস ফ্লাভেনইডসযা মূলত লিভার কে বজ্র পদার্থ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।এই লেবুর রস লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এজন্য বলা যায় লিভারকে সচল রাখা এবং সুস্থ রাখার কাজে লেবুর পানির গুরুত্ব অপরিসীম।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেকভাবে লেবু রস আমাদের দেহের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে। সেগুলো হলো:

  • লেবুর রসে পটাশিয়াম নামক এক ধরনের পদার্থ রয়েছ। যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেএবং কর্মদক্ষতা ও হার্টবিট নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পরিমাণে সহায়তা করে।
  • সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবুর রস ও মধু বা সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ দূর হয়।
  • লেবুর রস পান করার পরে শরীরে এক ক্লান্তি দূর এবং স্ট্রেস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়,এটি গবেষকদের কথ।
  • লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।এই ফাইবারের কারণে আমাদের শরীর ভাঙতে পারে না।যার কারনে ব্লাড সুগার লেভেল বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওপর কোনো প্রভাব তৈরি করতে পারে ন।
  • লেবুর রস আমাদের নিশ্বাস নিতেও কিন্তু সাহায্য করে।খাবার খাওয়ার পর মুখে বিভিন্ন ধরনের খাবারের গন্ধ লেগে থাকে।যার ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় সে গন্ধ গুলো অনুভব করা যায়। লেবুর পানি বালে রস দিয়ে যদি কুলি করা যায় তাহলে গন্ধ থেকে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।
  • ঠান্ডা পানিতে যখন লেবুর রস মেশানো যায় তখন সেই পানিতে এক ধরনের শর্করামাত্রার সৃষ্টি হয়।যা আমাদের দেহের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
  • লেবুতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক থাকার কারণে আমাদের দেহের সংক্রমণ রোগ হতে রক্ষা করে।
খালি পেটে লেবু খাওয়ার অপকারিতা?
আমরা একটু আগে লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এখন জানবো খালি পেটে লেবু খেলে কি কি অপকারিতা হতে পারে চলুন সেগুলো জানি :
  • লেবুতে এক ধরনের ক্ষতিকর এনজাইম এর সৃষ্টি হয। কেউ যদি এই এনজাইম খালি পেটে লেবুর রস পান করে তাহলে সে ক্ষতিকর এনজাইমটা আমাদের দেহের পেপসিন নষ্ট করে দেয়
  • অতিরিক্ত লেবুর রস দাঁতের ক্ষয়ও করতে পারে।
  • অতিরিক্ত গরম পানিতে লেবুর রস প্রতিদিন খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের হাড়ের ক্ষয় হতে থাক। এটি মূলত আমাদের দেহের হাড়ের জয়েন্টের যে তেল রয়েছে এটি শোষণ করে আমাদের হাড়কে ক্ষয় করে।
  • অতিরিক্ত পানিতে যদি লেবুর রস মিশিয়ে সেটি পান করা যায় তাহলে সেটি আমাদের ঘন ঘন প্রস্রাবে বা ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যায় ফেলতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তির মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে। তারা যদি অতিরিক্ত লেবুর রস পান করে তাহলে তাদের মাইগ্রেনের সমস্যাটি অধিক আকারে বৃদ্ধি পাড়াতে পারে।
  • লেবুতে এক ধরনের সাইট্রিক এসিড রয়েছে যার অতিরিক্ত প্রভাবে আমাদের পেট খারাপ পর্যন্ত হতে পারে।

ত্বকে লেবুর ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা?

পৃথিবীতে অনেক ত্বকের জন্য প্রোডাক্ট রয়েছে। যেগুলো দাবি করে তারা ত্বকের বিভিন্ন উপকারী হিসেবে কাজ করে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে সঠিক কাজটি করে উঠতে পারে না।

কিন্তু এই লেবুর রসের পানি সহজেই তা করে দিতে পারে।কারণ লেবুতে থাকা বিভিন্ন উপাদান গুলো একত্রিত হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাবটি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

শুধু যে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে সেটি নয় এর পাশাপাশি ত্বকের বয়স কমানো এবং ত্বকের ওপর থেকে বিভিন্ন ব্ল্যাকহেড দাগ গুলো কমিয়ে ফেলে। এছাড়াও কেউ যদি গরমে তার ত্বককে খামমুক্ত রাখতে চায় তাহলে সে বারবার লেবুর পানি দিয়ে মুখটি ধুতে পারবে যা সেই ব্যক্তির ত্বকের অনেকটা উপকার কর।

উপরে আমরা উপকার সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবার উপকার সম্পর্কে জানব:

  • মানুষের মুখের টিস্যুগুলো একদম নরম ও কোমল। লেবুতে বিভিন্ন ধরনের এসিড রয়েছে।লেবু অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে এসিডের পার্শ্বপ্রতিক্রেও দেখা যেতে পারে।যার কারণে মুখে জ্বালাপোড়া অনুভবের সৃষ্টি হয়।অনেকেই সোনা গেছে যে লেবুর রস অতিরিক্ত ব্যবহার কারণে মুখ পুরো পর্যন্ত গিয়েছে।অনেকের মুখে আবার লালভাব অনুভব হয়।
  • লেবুতে সাইট্রাস জাতীয় পদার্থ রয়েছে যা সূর্যের আলোকে সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে সানবার্ন নামক রোগের সৃষ্টি হয়। এজন্য কোন ব্যক্তি যদি মুখে দিয়েসূর্যের আলোকে বের হয় তাহলে তার এই সানবার্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে তোকে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন ফুসকুড়,মুখ ফুলে যাওয়া ও লাল ভাব দেখা যায়
  • আমরা অনেকেই UV রশ্মির নাম শুনেছি।লেবু এক ধরনের সাইট্রাস ফল।কোন ব্যক্তি যদি মুখে লেবুর রস দিয়ে রশ্মির সংস্পর্শে আসে তাহলে এক ধরনের প্রদাহজনিত বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।

লেবু কি নিয়মিত খাওয়া যাবে

আমরা উপরের তথ্য থেকে অনেক কিছু জানলাম যে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে। সেই সাথে এটাও জানলাম লেবু আমাদের কি কি ক্ষতিও করতে পারে। আমরা লেবু নিয়মিত খেতে পারবো কিন্তু এত বেশি মাত্রায় লেবু খাওয়া যাবেনা।

 লেবু যেমন আমাদের উপকার করে ঠিক তেমনভাবে অতিরিক্ত আমাদের ক্ষতিও করে। একটি মানুষ প্রতিদিন প্রায় ১২০ মিলি লিটারের মতো খেতে পারবে। আপনি যদি ১২০ মিলি লিটারের বেশি ফলে রস খান তাহলে সেটা আপনার জন্য মরণব্যাধি ও হতে পারে।লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার ২ টা দিক রয়েছে।

 আপনি ফলের রস বা ১২০ মিলিলিটার পর্যন্ত খেতে পারবেন। তাহলে এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি নিয়মিত লেবু খেতে পারবেন ঠিকই কিন্তু ১২০ মিলি লিটারের বেশি খেতে পারবেন না। তাই বলা যায় যে আমরা নিয়মিত লেবু খেতে পারব কিন্তু নির্দিষ্ট সীমারেখা বজায় রেখে।

লেবুর কি কোন রোগ প্রতিকার বা প্রতিরোধ

মানুষ প্রতিনিয়তই প্রায় লেবুর শরবত খেয়ে থাকে। লেবুর শরবত আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গরমের দিনে লেবু হচ্ছে মানুষের সব থেকে পছন্দের এবং কাছের বন্ধু।গরমে মানুষ প্রতিদিনই প্রায় এক গ্লাস হোক বা তার বেশি খেয়ে থাকে। 

 লেবু যে শুধু আমাদের দেহকে শুধু চাঙ্গা করে তা নয় এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষাও করে।যেমন এটি আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে এর পাশাপাশি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

 এটি আরো আমাদের ত্বকের যত্ন করতে ব্যবহৃত হয়। এটি আমাদের স্টেস থেকে মুক্তি দেয়। এটি আমাদের দেহের লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।লিভারের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের সাহায্য করে। 

লেবুর রস আমাদের মুখে দুর্গন্ধ। লেবুর রস যে শুধু প্রতিকার বা প্রতিরোধ করে তা নয় এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করার ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যবহার করা হয়।এটি আমাদের দেহের কর্মদক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

লেবু আমাদের  উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে কোনটি করে কেউ কি বুঝতে পেরেছ কি?

মূল কথা হলো আমরা যদি লেবুর রস নিয়মমাফিক পান করি তাহলে এটি আমাদের জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।আর যদি আমরা নিয়ম মাফিক ছাড়া বা অতিরিক্ত পান করা যায় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিন্তু এমনি ক্ষতিকর তাহলে এই লেবুর রসও আমাদের জন্য মরণবেদী বা মারাত্মক ক্ষতি কর হিসেবে গণ্য হবে।আমরা লেবু খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে অবগত হলাম। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১