শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়

 প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা কি শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় নিয়ে খুঁজছেন? কিন্তু কোথাও সঠিক উত্তরটি পাচ্ছেন না।আজকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবো শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় এবং শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিব সেই সকল বিষয়ে সঠিক উত্তরটি জানলো। আসুন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ি এবং এই সকল বিষয়ের তথ্যগুলো জেনে নেই


শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়


এছাড়াও আমরা আরো যে সকল বিষয়ে জানতে পারবো শীতে মুখের জন্য কোনটি ভালো, শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়, শীতে কি ব্যবহার করলে মুখ ফর্সা হবে, প্রাকৃতিক ময়শ্চেরাইজার কি এবং শীতে মুখে কোন তেল ব্যবহার করবেন এই সকল বিষয়ে জানতে নিচের বিবরণটি পড়তে থাকি ঃ

শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিব

আমাদের দেশের আবহাওয়া হল নাতিশীতোষ্ণ।এখানে না বেশি শীত পড়ে না বেশি গরম পড়ে এ জন্য এটিতোষ্ণ। শীতে আমাদের দেহের যে অঙ্গটি সবচাইতে বেশি যত্ন করতে সেটি হল ত্বকের।

কারণ ত্বক হল একদম কোমলিও একটি অঙ্গ। এই জন্য ত্বকের যত্ন বেশি খুশি করে করতে হয়। ত্বক নরম বা কোমলিও হওয়ার কারণে এটার যত্ন বেশি করতে হয়। বিশেষ করে শীতের সময় ত্বকের যত্ন একটু বেশি করতে হয়।

অনেকেই আছে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শীতে ত্বকের যত্ন করে অনেকে আবার আছে শীতে ত্বকের যত্ন ঘরোয়া উপায়ে করে থাকে।শীতে ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি হতে দূরে থাকতে হবে।

কেননা সূর্যের অতি বেগুনে রশ্মি ত্বককে বুড়িয়ে দেয়। এর জন্য কেউ ইচ্ছে করলেন একটি ছাতা ব্যবহার অথবা টোকার মত জাতীয় কিছু টুপি পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

আমাদের মধ্যে অনেক আছে যারা টুপি বা ছাতা ব্যবহার করতে ইতস্ত বোধ করেন। তাহলে আপনি সান প্রটেকশন ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।

এখন একটি প্রশ্ন মাথায় আসতে পারে যে আমরা কেন sun protection cream ব্যবহার করব?এজন্য আমাদের আগে ত্বকের রঙের কথা বিবেচনা করতে হবে।

কারণ যে ব্যক্তির ত্বকের রং যত বেশি ফর্সা হবে অতি বেগুনি রশ্মির তত শোষণ করতে পারবে।যার ফলে তোকে নানা ধরনের সমস্যায় দেখা দেয়। আমাদের উচিত এখন থেকেই শীতে ত্বকের যত্ন নেওয়া। যার বলেছি তার মধ্যে শুষ্কতা কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখাবে ।

শীতে মুখের জন্য কোনটি ভালো

শীতের সময় ত্বকের যত বেশি করে নিতাই এই জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের মশ্চারাইজার বডি লোশন ও ধরনের প্রোডাক্ট তোকে ব্যবহার করতে থাকে। সে ক্ষেত্রে কোনটি আমাদের মুখের জন্য বেশি উপকারী সেটা জানা যাক চলু।

শীতকাল মানে বাতাসের আদ্রতা কমে যায়। এর মানে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। কারণ শীতকালে বাতাসের আদ্রতা এতটাই কমে যায় যে আমাদের ত্বকের আদ্রতা কমতে থাকে যার ফলে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে।আমরা ওদের সকলের ময়শ্চারাইজারের নাম শুনেছি।

শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে আমরা মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে মশরাজের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগে ত্বকে কোন মশ্চারাইজার ভালো হবে।

 মশ্চারাইজার ঠিক করার আগে আমাদের ত্বকের ধরনটি কেমন সেটি বুঝে সেই অনুযায়ী মশ্চারাইজার ঠিক করতে হবে।

 কেননা যদি ভুল মোশ্চারাইজের ত্বকের উপর ব্যবহার হয় তাহলে তোকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখে পারে।এমনও হতে পারে তো মশ্চারাইজার এর কারনে পুড়ে যেতে পারে।

পৃথিবীর সকল মানুষের ত্বকের ধরন কিন্তু ভিন্ন রকমের।কোন মানুষের ত্বকের ধরনের শুষ্ক আবার অনেকের ত্বকের ধারণ করে লাগতো। এর জন্য সঠিক ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন।

 যে সকল ব্যক্তির ত্বক সুস্থ তাদের এক্সট্রা ময়েশ্চারাইজার বডি লোশন ব্যবহার করা এবং যাদের তৈলাক্ত তাদেরশুধুমাত্র হালকা বডি লোশন ব্যবহার করলেই হবে। 

অনেকে যারা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট মাখতে থাকে এবংকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম প্রয়োগ করে। তাহলে কেনার আগে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনি ময়শ্চারাইজার কিনবেন। 

যে কোন প্রোডাক্ট নেয়ার আগে দেখে নেবেন তার উপাদান গুলো কি কি রয়েছ। যদি তার মধ্যে প্যারাবেন বা এমোনিয়া থাকলে সেই প্রোডাক্টগুলো না কেনাই উত্তম।কেননা এই গুলোত্বকের আদ্রতা কেড়ে নেয়।যার ফলে তোকে শুষ্কতার টান পড়তে থাকে । 

বডি লোশন বা মসরেজার যখন চিনবেন তখন সেটি একটু হাতে বা কোথাও প্রয়োগ করে দেখবেন যে সেটা ভালোভাবে শরীরের সাথে মিশে গেছে কিনা। 

যদি মিশে যায় তাহলে সেটি ভালো প্রোডাক্ট হিসেবে গণ্য হবে আর যদি সে যেতে পারে বা না মিশে যায় তাহলে সেটি না কি নাই ভালো।দামি লোশন যে ভালো হবে এর কোন মানে নেই আপনার বাজেটের মধ্যে আপনি কিনতে পারবেন

শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়

শীত আমাদের প্রায় সবারই অনেক পছন্দ।শীতে বাতাসে এতটাই কম থেকে দিয়ে আমাদের ত্বকে অনেকটা শুষ্ক হয়ে পড়ে। এই সময় ত্বক আমাদের থেকে বাড়তি যত্ন চাই। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মুখের যত্ন করার সময় পান না। তারা বিভিন্ন ধরনের বাসার কাজ পড়াশোনা ছাড়া অফিসে বিভিন্ন ধরনের কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকেন।

 তাদের জন্য শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় কিছু রয়েছে।যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যস্ততার মধ্যে ত্বকের যত্ন করতে পারবেন।চলুন জানা যাক শীতে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি হতে পারেঃ

পাকা পেঁপে:কোন ব্যক্তি যদি একটি কাপের আধা কাপ পেপের সাথে ১/২চা-চামুচ মধু মিশিয়ে এক ধরনের পেস্ট তৈরি করতে হবে।এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো মিশ্রণটি মুখে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি এটি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার করতে পারেন তাহলে আপনার মুখের আদ্রতা ও মসৃণতা ফিরে আসবে।

পাকা কলাঃএই পাকা কলা আপনার ত্বককে গুড়েও চলবে আগের থেকে আরও বেশি উজ্জ্বল। দুই থেকে তিনটি কলার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে। সেই কলার সাথে সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই প্রেমী শ্রণটি লাগানোর আগে মুখটি ভালো করে ধুয়ে এসে মিশ্রণটি মুখে লাগান।এটিও প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি যদি আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার মুখ আরো উজ্জল হয়ে উঠবে।
ওটসঃকোন ব্যক্তি যদি দুধের মধ্যে ওটস মিশিয়ে রাখেন।এর মধ্যে দুই এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করবেন। সেই মিশ্রণটি ৪ মিনিট মুখে দিয়ে রাখতে হবে এরপর এটি শুকিয়ে আসলে আস্তে আস্তে সেটি মুখের সাথে ঘষতে হবে। এরপর সামান্য কিছু কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এর ফলে আপনার মুখের জেলার সাথে সাথে মুখ অনেকটি কোমলিও ভাব চলে আসবে।
নারিকেল তেলঃশীতের সময় যে সকল ব্যক্তির মুখে লাবণ্যতা হারিয়ে যায় তারা ইচ্ছে করলে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।এই নারকেলের তেল আপনি যদি প্রতিদিন গোসলের আগে শরীরে মাসাজ করতে পারেন তাহলে আপনার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই।
অ্যালোভেরাঃশীতের মধ্যে শুষ্ক ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি অ্যালোভেরার জেল তৈরি করে এবং এর সাথে সামান্য কিছু চামচ নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্রায় বিশ মিনিটের কাছাকাছি রেখে মুখ ভালো হবে ধুয়ে নিন। এর ফলে আপনার মুখ হতে দূষিত পদার্থ গুলো বের হয়ে যাবে ।
জলপাইয়ের তেলঃকোন ব্যক্তি যদি শীতের মধ্যে তার ত্বকে সতেজ বা মোশ্চারাইজ রাখতে চাই তাহলে জলপাই দিলে ব্যবহার করতে পারে।কারণ জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ ই ও এন্টিঅক্সিডেন্ট ।?

বেসন ও দুধের পেস্টঃকোন ব্যক্তি যদি শীতের মধ্যে তার মুখে শুষ্কতা এবং ত্বক একটা যে বয়সের ছাপ পড়ে যায় সেটি দূর করার জন্য বিশ্বনো দুধের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। কেননা দুধের ভিটামিন ত্বকের সুস্থতা দূর করতে সাহায্য করে। আর বেসন বয়সের ছাপ দূর করতে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিগুলি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে পারেন।

শীতে কি ব্যবহার করলে মুখ ফর্সা হবে

শীতের মধ্যে ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণে অনেকেরই ত্বক কালো আবরণ ঢাকা পড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে সে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ইউজ করতে থাকে। 

যার কোন বেনিফিট পাওয়া যায় না। কোন ব্যক্তি যদি দুধের সাথে গুড়ের প্রয়োগ করে তোকে তাহলে মুখের উজ্জ্বল ভার বা ফর্সা রূপ ফিরে আসবে। 

কোন ব্যক্তি শীতের সময় যদি দুধ অথবা গুড় খেয়ে থাকে তাহলে তার মুখের উজ্জ্বলতা প্রায় ৩ থেকে চার গুণ আকার বেড়ে যায়। এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে জানা যায়ঃ

  • অনেকে হয়তো জানি যে দুধের একটি এসিড ও প্রোটিন রয়েছে।গুড়ে রয়েছে আয়রন এবং ভিটামিন।যা আপনার দেহের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি অনেকটা পূরণ করে দিবে।যার ফলে দেহে অক্সিজেনের কোন ঘাটতি হবে না । এর পাশাপাশি মুখে অনেকটা উজ্জ্বল করে তোলে।আপনি ইচ্ছে করলে আপনার খাদ্য তালিকায় এদিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
  • গুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন থাকার কারণে এটি আমাদের দেহের মধ্যের ক্ষতিকারক পদার্থ টক্সিনকে বের করতে সাহায্য করে।এর ফলে আমাদের ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হয় । এই উপাদান গুলো বের করা ছাড়া আরও উপাদান রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।এগুলো আমাদের ত্বকের ব্রণের দাগ কমানোর সাথে সাথে ফুসকড়ি কমিয়ে দেয়।
  • যে সকল ব্যক্তির চোখের নিচে কালো দাগ অর্থাৎ যার ডার্ক সার্কেল রয়েছে তারাই দুধ ও গুড় খাওয়ার ফলে তাদের চোখে নিজের দাগগুলো দূর করতে পারেন।
  • আমাদের মধ্যে অনেক রয়েছে যাদের সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে মনে হয় যে চোখ ফুলে গেছে। এই ফোলা ভাবটা ত্বককে বয়স্কদের মতো বানিয়ে দেয়। এটি দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত গুড় ও দুধ খেতে পারে।

প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার কি

ময়শ্চারাইজার মূলত ব্যবহার করা হয় আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য।গরমকালে বা শীতকালের দুটোতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয় ত্বক ভালো রাখার জন্য।

আপনাদের মত অনেক গেছে যারা নিয়মিত একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করে সেটি তার কাছে অত্যন্ত প্রিয়।সেই মশ্চারাইজারের যদি দাম বেশি বা ফুরিয়ে যায় তাহলে ভাবনার কোন চিন্তা নেই।
  • প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজার তৈরি করা যায়।আমাদের রান্নাঘরে এমন জিনিস রয়েছে যেখানে আমরা প্রাকৃতিক ভাবে মশ্চারাইজার তৈরি করতে পারি।
  • অলিভ অয়েল এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার।অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন এ ই দুটোই। অলিভ অয়েল এর সাথে হালকা পানি মিস করে পাতলা করে নিয়ে সেটি যদি আপনার মুখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখ প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজার হবে এবং আপনার মুখে দারুন কাজ করবে।
  • আমরা মধুর অনেক গুনাগুন সম্পর্কে আগে জেনেছি। মধু আমাদের তর্কে গভীর থেকে মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।মরিতে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।যা নিস্তেজ ত্বক কেউ সতেজ করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন কাঁচা মধু ১০ মিনিট পর মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এর ফলে আপনার মুখে প্রাকৃতিক আবার ফিরে আসবে।
  • গ্লিসারিনে রয়েছে হিউমেক্টন্ট।যা আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পারে।গ্লিসারিন মূলত বাতাসে থাকা পানি এনে আমাদের ত্বক কে ময়শ্চারাইজার করে। মুখে যদি ব্রণ থাকে তাহলে গ্লিসারিনের ব্যবহার করতে পারবেন।
  • নারকেলের তেল আমাদের ত্বকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে থাকে। এতে এক ধরনের এন্টি মাইক্রোব্রিয়াল রয়েছে।যা আমাদের ত্বককে ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।
  • প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই শসা পছন্দ।শসার রস মানুষের ত্বককে হাইড্রেট করতে পারে।এর ফলে আপনার ত্বকের পুষ্টির অভাব পূরণ হবে। তোকে যদি জ্বালাপোড়া থাকে সেটা প্রশমিত করবে।
  • এছাড়াও আরো অনেক প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার রয়েছে যা এখন বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের রান্না ঘরে যে সকল জিনিস রয়েছে যেমন চিনি, কলা এলোভেরা,দুধ ইত্যাদি সবকিছুই প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যাব। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতগুলো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার রয়েছে ।

মুখে শীতে কোন তেল ব্যবহার করবো

মানুষ যে তেল শুধু চুলে ব্যবহার করে সেটা কিন্তু নয়। তেল এখন মুখেও ব্যবহার করা হয়। আমরা আগে জেনেছি মানুষের ত্বকের ধন ভিন্ন। এই সকল ভিন্ন ধরনের ত্বকের তোকে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিউটি অয়েল বা সৌন্দর্যবোধক তেল ব্যবহার করতে পারে। শীতকালে অনেক ঠান্ডা পড়ার কারণে মানুষ তার তোকে কিছু অয়েল ব্যবহার করতে পারে। যার মানুষের ত্বককে সুন্দর উজ্জ্বল কম্বোলিও নরম আকর্ষণীয় করে তুলবে। শীতে মুখে কোন তেল ব্যবহার করব সেটি জানবোঃ
পৃথিবীতে অনেকেই মুখের সৌন্দর্য বর্ধনের তেল বা বিউটি অয়েল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় সাতটি অয়েল রয়েছে যেগুলো মানুষের কাছে অতি পরিচিত বা প্রিয়।এই সাতটি অয়েলের নাম হলোঃ
  1. রোজহিপ অয়েল
  2. হিবিস্কাস অয়েল
  3. ট্রিটি ওয়েল
  4. পামকিন সিড অয়েল
  5. ব্ল্যাককামিং সিড় ওয়েল
  6. প্রমিগ্রেনেট সিড অয়েল
  7. সানফ্লাওয়ার অয়েল

এই সাতটি তেল ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা সহ মুখে কমলিও ভাব, উজ্জ্বলতা, ত্বকের সৌন্দর্য, বয়সের ছাপ দূর করা, ত্বক শুষ্ক হবে না, চোখের নিচে ডাক সার্কেল দূর হবে, ব্রণ দাগ দূর হবে, ত্বক ফেটে যাবে না

 ইত্যাদি এই সকল প্রকার কাজ করবে এই সাতটি অয়েল। আমরা অনেকে মনে করতে পারি এটি ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা। 

কিন্তু না এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই কারণ এগুলো আমাদের এ ধরনের ফল কালোজিরার এগুলো থেকে তৈরি তেল। এজন্য এটি ব্যবহারের ফলে শুধু উপকারী হবে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মূল কথা হলো শীতকালে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে যত্ন নিতে অনেক সহায়তা হবে। এমন তো নয় যে হচ্ছে বাইরে থেকে কোন জিনিস কিনে এনে বা অনেক কষ্ট করে সেগুলো বানাতে হবে বা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে

এগুলো অতি সহজে তৈরি করা যাবে এবং ত্বকের প্রয়োগ করা যাবে যার ফলে ত্বক সুস্থ থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাব।

 এজন্য শীতকালে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় জানা অত্যন্ত জরুরী । শীতকালে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে আপনি অতি সহজে নিজের ত্বকে যত্ন নিতে পারবেন যেকোনো সময়।

 আর যদি জানা না থাকে তাহলে আপনি যত্ন না নিলে ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে ত্বকে। এজন্য আমরা বলতে পারি শীতকালে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় জানা অত্যন্ত জরুর এবং আবশ্যকীয।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১